তুমি তখন তুমুল বসন্ত মাতাল ধরিত্রী। আর আমার চোখ মুখ থেকে তখনও ছড়ায় পাগলা কৈশোরের ঘ্রাণ। মাত্র ক'দিনে বদলে যাওয়া তোমাকে চিনতে দ্বিধাগ্রস্ত আমার তামাম পৃথিবী।
কলেজ ল্যাব দাপিয়ে বেড়াও বিকেলগুলি। আমি গোপনে গোপনে মুছে আসি অণুসৃত রেখাগুলি। অবাক হও ধীরে ধীরে লাল হয়ে যাওয়া লিটমাস দেখে। নীল হয়ে গেলে অনেকখানি কষ্ট জমে!
প্রহরের প্রহারে জর্জরিত হই বারবার কলেজের গেটে। ফেরার পথে যদি দৃষ্টির দ্রবনে একটু আস্কারা মেলে!
বললে তুমি, আচ্ছা আনিস বলতো দেখি, ভালবাসার রংটা কেমন, লাল নাকি নীল? ঘৃণার কেমন? লিটমাসে যাচাই করা কেমন হবে? আমি বলি বেশতো এখন করো যাচাই। এইতো তোমার সামনে আছি, কাছাকাছি। আমায় দিয়ে হোকনা শুরু লিটমাস টেস্ট।
হাসতে হাসতে বললে তুমি, তুইতো বুদ্ধু বড়ই বোকা, তোকে কেন টেষ্ট করব তুই কি প্রেমিক? ইচ্ছে আছে তার বুকেতে এই পেপারে টেষ্ট করব সত্যি ভালবাসা কিনা।
এইনা শুনে সেই সন্ধ্যায় মাধবকুন্ড দেখতে গেলাম, চোখের তারায় জলের প্রপাত। তখন ছিল জলপ্রপাতই দেখার বয়স!
জান মিলি, আজকে আমি খনির খনন শ্রমে বাঁচি। পাথর কঠিন হাতে ভাঙ্গি। কত কিছুই হারিয়ে গেল, মাধবকুন্ড দেখিনা তবু।
ইচ্ছে জাগে মাঝে মাঝে জলে ভাসি আগের মত। ইচ্ছে করে তোমায় ডেকে বলেই ফেলি না বলা সে সাতটি বছর, খনন শ্রমের দীর্ঘশ্বাসের রক্তগোলাপ ফোটার প্রহর, বুকের ভেতর একা একটি লিটমাসের নিরন্তর নীল হয়ে যাওয়ার গোপন খবর!
0 Comments